প্রচ্ছেদ > সংবাদ > Content

বিএফএসইউ দ্বারা আয়োজিত গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ফোরাম

Updated: 2023-09-19

২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের দশম বার্ষিকী উপলক্ষে বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটি (বিএফএসইউ) দ্বারা আয়োজিত গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব ক্যাপাসের জিমনেসিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ফোরামটার বিষয় হলো ‘বিশ্ব সভ্যতার যোগাযোগ এবং আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি’। সভ্যতার যোগাযোগ শক্তিশালী করা, সক্রিয়ভাবে বিশ্ব সভ্যতার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা এবং মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যত নির্মাণসহ ফোরামে প্রচার করা হয়। সরকার ও দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ এবং বিএফএসইউ-র শিক্ষক-শিক্ষর্থী প্রতিনিধিসহ ৬০০ জনেরও বেশি লোক এই ফোরামে অংশ করেন।

বিএফএসইউ-র পার্টির কমিটির সভাপতি ওয়াং তিংহুয়া ফোরামে বক্তৃতা করেছিলেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘বিশ্ব সভ্যতার বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব নিতে হয়’। সিপিসি কেন্দ্রিক কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের ইপ-সভাপতি গুয়ো ইয়েজ্যৌ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ চায়নার উপ-সভাপতি জ্যাং ওয়েউ, ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা, শ্রীলংকার শ্রী জয়বর্ধনেপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এম এম পথমালাল বক্তৃতা করেছিলেন।

ফোরামটিতে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ দেশগুলোর সংস্কৃতি ও শিক্ষা সিরিজের ফলাফল প্রকাশের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, বিশ্ব ভাষা সেবা প্ল্যাটফর্ম প্রকল্প শুরু হয় এবং আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া অবদান সূচক প্রকাশ হয়। এতে বিএফএসইউ নতুন বছরের দায়িত্ব পালন করতে প্রতিফলিত হয়।

বিএফএসইউ-র সিপিসি কমিটির উপ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়াং তান বক্তৃতা করেছিলেন। বক্তৃতাটার বিষয় ছিল ‘সভ্যতার মধ্যে বিনিময় প্রচার এবং আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি’। আলজেরিয়া-চীন ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইসমেল ডেবেশ ‘চীন-আলজেরিয়া সংলাপে ফোকাস করে সভ্যতাগুলোর মধ্যে সংলাপ ও বিশ্বের ভবিষ্যত অন্বেষণ করা’ বিষয়ক বক্তৃতা করেছিলেন। চিয়াং মাই রাজভাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী সভাপতী ছত্রী মানেকসোলের বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘বিশ্বের সভ্যতা এবং আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া’। ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর কনফুসিয়ান কালচার রিসার্চের সভাপতি ও বিএফএসইউ-র ভিজিটিং প্রফেসর রজার আমেস যে বিষয়কে কেন্দ্র করে বক্তৃতা করেছিলেন তা ‘সভ্যতা সংলাপ গ্লোবাল অর্ডারের নতুন কাঠামো হতে পারে’ ছিল।ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক টিমোথি উইন্টার, রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ লিটারেচার, হিস্ট্রি অ্যান্ড আর্কিওলজি, ইউরোপিয়ান একডামি অফ সায়েন্সের বিদেশী সদস্য জ্যাং লংশি ‘সংলাপ এবং সহাবস্থানের উপায়’ বিষয় নিয়ে বক্তৃতা করেছিলেন।

ফোরামে ‘ভাগ করা ভবিষ্যতের সম্প্রদায়ের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত’, ‘ভাষা ও মানুষের সভ্যতা’, ‘আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং ক্রম-সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া’, ‘শিক্ষাগত সমতা ও বিশ্বের ভবিষ্যত’, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডের দশম বার্ষিকী এবং আরসিইপির শিক্ষগত সহযোগিতা’, ‘বৈশ্বিক সভ্যতা ও যুব দায়বদ্ধতা’, ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব উন্নয়ন ও সভ্যতার নতুন রূপ’সহ বিভিন্ন বিষয়ের সাব-ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীরভাবে মতবিনিময় ও আলোচনা করেছিলেন।