এশীয় ও আফ্রিকান স্টাডিস স্কুল(এসএএএস) ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এশীয় ও আফ্রিকান ভাষা শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে চীনের স্কুলগুলোর মধ্যে এসএএএস’র ইতিহাস সবচেয়ে পুরাতন। এখানে বর্তমানে ১৬টি ভাষার স্নাতক প্রোগ্রামসহ মোট ৩৩টি ভাষার কোর্স চালু আছে। এই স্কুলের গবেষণা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া গবেষণা কেন্দ্র, দক্ষিণ এশিয়া গবেষণা কেন্দ্র, পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকান গবেষণা কেন্দ্র, কোরীয় গবেষণা কেন্দ্র, শ্রীলংকান গবেষণা কেন্দ্র, ইন্দোনেশীয় গবেষণা কেন্দ্র এবং ইরানি গবেষণা কেন্দ্র। এসএএএস নিয়মিত‘এশীয় ও আফ্রিকান স্টাডিস’নামক একটি একাডেমিক জার্নাল প্রকাশ করে থাকে।
বর্তমানে এই স্কুলে ৫০ জন শিক্ষক আছেন, যাদের মধ্যে ২০ জন অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক। পিএইচ.ডি ডিগ্রিধারী ২১ জন শিক্ষক এখানে শিক্ষকতা করছেন। প্রতি বছরে ১০ জন বা তারও বেশী সংখ্যক বিদেশী বিশেষজ্ঞ এবং দেশী-বিদেশী স্কলারদের স্কুল পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের লেকচার দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়। বর্তমানে এখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচ.ডি প্রোগ্রামে নিবন্ধনকৃত প্রায় ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। এখানে ভাষা সংক্রান্ত কোর্স ছাড়াও সাধারণ শিক্ষা সংক্রান্ত কোর্স এবং দেশ ও আঞ্চলিক গবেষণা সংক্রান্ত কোর্সও আছে। গত ৫০ বছরে এখানে শিক্ষাপ্রাপ্ত অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করে দক্ষ পেশাদার হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
এশীয় ও আফ্রিকান গবেষণা স্কুলের(এসএএএস) ভবিষ্যত্ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নীত করা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে আরও উচ্চ মানের শিক্ষাদান করা এবং তুলনামুলকভাবে স্বল্প ব্যবহৃত ভাষাগুলো গবেষণার জন্য একটি জাতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গঠন করা। তাছাড়া, চীনের পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা এবং পশ্চিম আফ্রিকা এই ছয়টি অঞ্চলের ২৬টি দেশের সাহিত্য, সামাজিক বিজ্ঞান এবং দেশ ও আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার মান আরও উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা এশীয় ও আফ্রিকান গবেষণার দিকে আরো বেশি একাডেমিক অবদান রাখতে পারে।