বিএফএসইউ’র অন্যতম বৃহত্তম স্কুল- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্কুল(আইবিএস) ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আইবিএস’তে স্নাতক প্রোগ্রাম, চীন-বিদেশ যৌথ স্নাতক প্রোগ্রাম, স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম, ডাবল-ডিগ্রি স্নাতক প্রোগ্রাম, পিএইচ.ডি প্রোগ্রাম এবং নির্বাহী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম আছে। বর্তমানে এই স্কুলে ১০০০ জন স্নাতক শিক্ষার্থী, বিদেশে পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি প্রোগ্রামে ২০০ জন শিক্ষার্থী এবং ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ৪০০ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
চীনের বাণিজ্য সংক্রান্ত শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে আইবিএস সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইবিএস শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে উত্সাহ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দূরদৃষ্টি ও সুদৃঢ় চিন্তাধারা এবং অনন্য বিচারশক্তি ও সৃজনীশক্তিসহ সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আইবিএস’র লক্ষ্য হচ্ছে বহুভাষিক, বহু-সাংস্কৃতিক ও বহু-আঞ্চলিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে অনুষদ, শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের যৌথ প্রচেষ্টায় চীনের প্রথম বিশ্বায়ন বাণিজ্য স্কুল তৈরী করা। চীনকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে আইবিএস শিক্ষার্থীদের উন্মুক্ত চিন্তাধারা ও সামাজিক দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যতের অগ্রদূত হিসেবে গড়ে তোলে।
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আইবিএস শিক্ষাদান, গবেষণা ও সামাজিক সেবা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ২০০২ সালে আইবিএস’র অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা অনুষদ চীনের‘২১১ প্রকল্পের’অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক বিষয়(key discipline) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০০৭ সালে, আইবিএস চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক পেশাজীবিদের পরীক্ষামূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পেশাজীবিদের বিশেষ প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার কারণে আইবিএস পেইচিং পৌর সরকারের প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। ২০১২ সালে আইবিএস’র পরীক্ষামূলক শিক্ষাদান পদ্ধতি জাতীয় নমুনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাছাড়া আইবিএস’র ৫ জন অধ্যাপক অধ্যয়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বৃত্তি পেয়েছে।
বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আইবিএস বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের পুঁজি বিনিয়োগ দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে সহযোগিতামূলক ও অংশীদারিত্ব সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই স্কুলটি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বিদেশে স্বল্পকালীন শিক্ষা কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক বিনিময় কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করে। তাছাড়া আইবিএস চীনের সরকারি সংস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক কম্পানির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখছে।
আইবিএস তার আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ কাজে লাগিয়ে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা গবেষণায় উদ্ভাবনশীল ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর। আইবিএস বিএফএসইউ’র অন্যান্য রির্সোস ব্যবহার করে একটি আন্তর্জাতিক উন্নত মানের বাণিজ্য স্কুল গঠন করে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।